img

পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জামাতা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ সফদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে আজ সোমবার ভোরে এক হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সফদারের স্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ অভিযোগ করেছেন, পুলিশ হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙে ঢুকে তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। সে সময় তাঁরা ঘুমাচ্ছিলেন। 

তবে ক্ষমতাসীন দল পিটিআইয়ের নেতা ও পাকিস্তানের সমুদ্রসম্পদবিষয়ক মন্ত্রী আলী জিয়াদি বলেছেন, মরিয়ম আবার মিথ্যা বলছেন। হোটেলের দরজা ভেঙে পুলিশ ঢোকেনি।

সফদারকে করাচির আজিজ ভাট্টি থানায় রাখা হয়েছে। করাচিতে বাগ-ই-জিন্নাহতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সমাধি এলাকায় বিরোধী দলগুলোর জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করে। সেখানে স্লোগান দেন সফদার। এর পরদিনই তিনি গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে সমাধির পবিত্রতা নষ্টের অভিযোগে মরিয়ম, সফদার ও তাঁদের ২০০ অনুসারীর বিরুদ্ধে ওয়াকাস আহমেদ নামের এক ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, পিএমএল-এন নেতারা দুই শতাধিক সমর্থক নিয়ে সমাধিতে পৌঁছান। সফদার কবরের চারপাশের বেষ্টনী টপকে ভেতরে ঢুকে পড়েন। অভিযোগকারী ওয়াকাস আহমেদ তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেও পারেননি। এরপর সফদার তাঁকে ও তাঁর লোকজনকে হত্যার হুমকি দেন।

মরিয়মের মুখপাত্র মুহাম্মদ জুবায়ের করাচিতে সাংবাদিকদের বলেন, পিডিএম জোটের ক্ষতি করতেই সফদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ ও পিপিপি মন্ত্রী সাঈদ ঘানির সঙ্গে কথা বলেছেন। শিগগিরই সত্য প্রকাশ হবে। তিনি বলেন, ‘ইমরান খানের জন্য সবচেয়ে সহজ কৌশল হলো সফদারকে গ্রেপ্তার করা, যাতে সব দোষ সিন্ধুর প্রাদেশিক সরকার ও পুলিশের ওপর গিয়ে পড়ে।’

তবে সাঈদ ঘানি টুইট করেছেন, সফদারের আচরণ ছিল অযাচিত। তবে তাঁকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা নিন্দনীয়। তিনি দাবি করেন, এটি করা হয়েছে পিডিএমে ফাটল ধরাতে। এই গ্রেপ্তারের পেছনে প্রাদেশিক সরকারের কোনো হাত নেই।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর