img

করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি খাতকে চাঙা করতে যে প্রণোদনা প্যাকেজ নেওয়া হয়েছিল, তা থেকে ৭৮ হাজার ৫২৬ জন কৃষক ১ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন। এ খাতের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠন করা হয়েছিল। ঋণ বিতরণ হয়েছে ৪২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। কৃষিঋণের প্রণোদনা প্যাকেজের সেপ্টেম্বরভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

করোনাভাইরাসের কারণে কৃষি খাতের সব ধরনের ব্যাংকঋণের সুদহার কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়। কম সুদে এসব ঋণ নিতে আগ্রহী কৃষক ও কৃষি খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে কম সুদে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না ব্যাংকগুলো। এ কারণে করোনার এ সময়ে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণে তেমন গতি দেখা যাচ্ছে না।

করোনাকালে দেশে যাতে খাদ্যসংকট না হয় এবং চাষযোগ্য কোনো জমি যাতে অনাবাদি না থাকে, সে জন্য সরকার কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। এ জন্য সরকার পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করে।

প্রণোদনা তহবিলের আওতা ও এর বাইরে কম সুদের ঋণ হিসেবে এ অর্থ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) ৯৫৯ কোটি টাকা ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ৩২১ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। কৃষি ব্যাংক লক্ষ্যের ৮০ শতাংশ ও রাকাব শতভাগ বিতরণ করেছে।

সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা তহবিল ও সুদ কমানোর ঘোষণার পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও ব্যাংকগুলো এ খাতে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। প্রণোদনা তহবিলের আওতা ও এর বাইরে কম সুদের ঋণ হিসেবে এ অর্থ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) ৯৫৯ কোটি টাকা ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ৩২১ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। কৃষি ব্যাংক লক্ষ্যের ৮০ শতাংশ ও রাকাব শতভাগ বিতরণ করেছে।

এর বাইরে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) ৫১ শতাংশ, রূপালী ব্যাংক ৮৬ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংক ৭৮ শতাংশ ও উত্তরা ব্যাংক ৫৩ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে। কোনো ঋণ দেয়নি মধুমতি ও ওয়ান ব্যাংক। আর লক্ষ্যের ১০ শতাংশের নিচে ঋণ দিয়েছে ইউসিবিএল, ইউনিয়ন, ট্রাস্ট, স্ট্যান্ডার্ড, সাউথইস্ট, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স, সোশ্যাল ইসলামী, সীমান্ত, প্রাইম, এনআরবি গ্লোবাল, এনআরবি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, যমুনা, আইএফআইসি, ঢাকা, বাংলাদেশ কমার্স, এবি, জনতা ও বেসিক ব্যাংক।

ব্যাংকগুলো বলছে, কৃষিঋণ বিতরণে খরচ একটু বেশি। কারণ, ঋণের পরিমাণ কম। আবার অনেক সময় প্রয়োজনীয় নথিপত্রে ঘাটতি থাকে। তাই আগে যাঁরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদেরই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর শাখা বেশি শহরে। তাই ঋণ দেওয়ার মতো ভালো কৃষকও পাওয়া যায় না।

তবে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, কৃষি খাতে ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোর ইচ্ছায় যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষিঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের ঋণ দিতে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর