img

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চালকেরা। চার লেন প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত ও সড়ক হস্তান্তরের আগেই মহাসড়কে গর্ত সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে, সঙ্গে নির্মাণকাজে অনিয়মেরও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তা চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। ২০১৬ সালে এ কাজ শুরু হয়। এই নির্মাণকাজ চার ভাগে বিভক্ত করে দরপত্র দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মির্জাপুর অংশের গোড়াই ক্যাডেট কলেজ থেকে জামুর্কী পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকায় ২ ভাগে কাজ হচ্ছে। ক্যাডেট কলেজ থেকে দুল্যামোড় পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার এলাকায় বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড ও মালয়েশিয়ার এইচসিএম ইঞ্জিনিয়ারিং এবং দুল্যামোড় থেকে জামুর্কী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকায় বাংলাদেশের মীর আখতার ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামহোয়ান কোম্পানি কাজ করছে।

এর মধ্যে কাজটির ৮০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সম্পন্ন অংশের কদিমধল্যা থেকে শুভুল্যা পর্যন্ত এবং কুর্ণী থেকে ইচাইল পর্যন্ত রাস্তার উত্তর পাশে বিভিন্ন স্থানে কয়েক মাস আগে দেবে যায়। ওই দেবে যাওয়া অংশে প্রায় দুই মাস আগে পিচ-পাথরসহ কার্পেটিং উঠিয়ে নতুন করে পিচ-পাথর দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। এদিকে ওই অংশটুকু ছাড়াও মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়াকুমারজানী থেকে দেওহাটা সেতুর আগ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে রাস্তা নতুন করে দেবে গেছে। সঙ্গে মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের।

রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেবে যাওয়া ওই অংশ ছাড়াও সোহাগপুর সেতুর ওপর, সোহাগপুর এলাকা (গন্তব্যপাড়া) ও কাসেম ড্রাইসেলস এলাকায় মহাসড়কে বড় বড় গর্ত দেখা গেছে। এর মধ্যে সোহাগপুর এলাকার গর্তগুলো দুই ফুট পর্যন্ত গভীর হয়েছে। এ ছাড়া জায়গায় জায়গায় যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে পিচ-পাথর উঠে গেছে। এর মধ্যে কাসেম ড্রাইসেলস এলাকার গর্তে ইট ফেলা হয়েছে। এতে কোনোরকমে যান চলাচল সম্ভব হচ্ছে।

গোড়াই এলাকার বাসিন্দা বোরহান মিয়া (৬৫) বলেন, ‘কয়েক দিন আগের বৃষ্টির কারণে রাস্তার এই অবস্থা হইছে। সড়কে যদি ঠিকমতো কাম হইতো, তাইলে এই অবস্থা হইতো না। পুরা রাস্তার কামই শেষ হইলো না, তার আগে সড়ক শ্যাষ হইতাছে।’

জানতে চাইলে ইচাইল মোড় থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত চার লেন প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খুরশিদ আলম বলেন, রাস্তায় যেখানে গর্ত হয়েছে, সেখানকার কাজই শেষ হয়নি। সেখানে কার্পেটিংয়ের কাজ এখনো বাকি রয়েছে। তবে এমনটা যেখানেই হচ্ছে, ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর