img

মাথার ত্বক বিশেষ ধরনের। কারণ, এতে হেয়ার ফলিকল, স্বেদগ্রন্থিসহ নানা বাড়তি উপাদান থাকে। এই ত্বকে কিছু বিশেষ ধরনের সমস্যাও হতে পারে।

খুশকি: খুশকি বা ড্যানড্রাফ হলো মাথার ত্বকের একটি বিশেষ সমস্যা। এ সমস্যায় ত্বকের মৃত কোষগুলো সাদা সাদা গুঁড়া অথবা অনেক সময় টুকরার মতো উঠে আসে। ছত্রাকের সংক্রমণ থাকতে পারে এর সঙ্গে। চুলকানি হতে পারে অথবা ত্বক লাল হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শে কিটোকোনাজল শ্যাম্পু ও অন্যান্য চিকিৎসা নিলে ভালো থাকা যায়।

সেবোরিক ডার্মাটাইটিস: খুশকি আরও তীব্র আকার ধারণ করলে, মাথার ত্বক লাল ও ক্ষতের মতো হয়ে গেলে, ত্বক টুকরার মতো উঠে এলে, তাকে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বলে। ভ্রু ও মুখের ত্বকেও এ সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যায় তৈলাক্ত ত্বক বা ব্রন বেশি দেখা যায়।

রিং ওয়ার্ম: শিশুদের মাথার ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়ে ছোট জায়গায় গোল বা ছোপ আকারে চুল উঠে আসতে পারে। লাল রাশের মতো হয়। এটি সংক্রামক। আক্রান্ত ব্যক্তির তোয়ালে, টুপি, হ্যাট ইত্যাদি ব্যবহার করলে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। অনেক শিশু পোষা প্রাণী থেকে সংক্রমিত হয়। এ সমস্যা কাটাতে ছত্রাকরোধী মলম ও মুখে খাবার ওষুধ লাগে।

ফলিকুলাইটিস: চুলের গোড়ায় বা হেয়ার ফলিকলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে তাকে ফলিকুলাইটিস বলে। এতে মাথার ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় পুঁজভর্তি ছোট দানা হয়। শেভ বা ওয়াক্স করা থেকে এমনটা হতে পারে। এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের দরকার হয়।

সোরিয়াসিস: সোরিয়াসিস শরীরের অন্যান্য স্থানের মতো মাথার ত্বককেও আক্রান্ত করতে পারে। এটি একটি জটিল ও মাল্টিসিস্টেম রোগ। এ সমস্যায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

উকুন: মাথার ত্বকে উকুন বা লাইস একটি পরিচিত সমস্যা। বিশেষ করে শিশুরা এতে ভোগে বেশি। বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা না হলেও এটি বিরক্তিকর ও বিব্রতকর। পারমিথ্রিন ক্রিম বা শ্যাম্পু, আইভারমেকটিন ইত্যাদি ব্যবহার করে উকুন নিধন করা যায়।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর