img

শিশুর বয়সভেদে টাইফয়েড জ্বরের উপসর্গে ভিন্নতা দেখা যায়। এক বছরের কম বয়সী শিশুর টাইফয়েডে সামান্য পেটের অসুখ থেকে শুরু করে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় মায়ের থেকে গর্ভের শিশুর শরীরে টাইফয়েডের জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। সাধারণত এর উপসর্গ প্রকাশ পায় জন্মের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। বমি, পেট–ফাঁপা, ডায়রিয়া, কখনোবা তীব্র জ্বর (১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে), খিঁচুনি, যকৃতের আকার বৃদ্ধি, জন্ডিস, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি বেশি দেখা যায়।

একটু বয়স্ক শিশুর বেলায় টাইফয়েডের প্রাথমিক উপসর্গ হলো জ্বর, ক্লান্তি, গাব্যথা, মাথাব্যথা, পেটব্যথা, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, কাশি। এক সপ্তাহের মধ্যে জ্বরের মাত্রা বাড়ে এবং তা আর ছাড়ে না। অন্যান্য উপসর্গও তীব্র হয়। শিশু দ্রুত কাহিল হয়ে পড়ে। এ পর্যায়ে যকৃৎ ও প্লিহার স্ফীতি বোঝা যায়। বুকের নিচের অংশজুড়ে পেটে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা শুরু না করলে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন অন্ত্রে ফুটো হয়ে তীব্র রক্তপাত ও পেরিটোনাইটিস, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, পিত্তথলির প্রদাহ, টকসিক মাইয়োকার্ডাইটিস, সেপটিক আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি।

চিকিৎসা

টাইফয়েড হলে চিকিৎসকের পরামর্শে যথাযথ চিকিৎসা নিতে হবে। শিশুর স্বাভাবিক খাবার বজায় রাখতে হবে। তরল খাবার খাওয়াতে বা বেশি পানি পান করাতে হবে। শিশু মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে হবে, না হলে হাসপাতালে নিতে হবে।

প্রতিরোধ

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, হাত ধোয়াসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে টাইফয়েড প্রতিরোধ করা সম্ভব। আক্রান্ত শিশুর মলমূত্র সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে। টাইফয়েডের জীবাণু মূলত পানি ও খাবারের মাধ্যমেই ছড়ায়। কাজেই পানি ঠিকভাবে ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করে পান ও ব্যবহার করতে হবে। দেশে টাইফয়েডের টিকা পাওয়া যায়। শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তা শিশুকে দেওয়া যেতে পারে।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর