img

হারিকেন স্যালির আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ লাখের বেশি মানুষ অন্ধকারে। স্যালির দাপটে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ে মার্কিন উপসাগর উপকূল লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বুধবার ক্যাটাগরি ২ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূলে আঘাত হানার পর বাতাসের গতিবেগ কমে যায়। তবে ঝড়টি আলাবামা ও ফ্লোরিডা উপকূল অঞ্চল লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে দুটো অঙ্গরাজ্যেই রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। আলবামা উপসাগরীয় উপকূলে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে, গাছপালা ভেঙেচুরে বিভিন্ন ছাদে গিয়ে পড়েছে। ফ্লোরিডার পেনসাকোলা সমুদ্র সৈকত এলাকায় বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারগুলো বিস্ফোরিত হয়েছে।

পেনসাকোলার অগ্নিনির্বাপক প্রধান গিনি ক্র্যানর সিএনএনকে বলেন, শহরটিতে গত চার মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টি মাত্র চার ঘণ্টায় হয়েছে।

স্যালি আলবামা উপকূলে স্থানীয় সময় ৪টা ৪৫ মিনিটে সর্বোচ্চ ১০৫ মাইল বেগে আঘাত হানে। পরে ঝড়ের গতি কমলেও মুষলধারে বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় বেশি ক্ষতি হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ঝড়টি পরে উপকূল থেকে উত্তরাঞ্চলের দিকে সরে যায়।

এতে সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ বুধবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় কাটান। স্যালি আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী একটি ঘূর্ণিঝড়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফ্লোরিডার পানহান্ডলে এবং দক্ষিণ আলাবামার কিছু অংশে বিপর্যয়কর ও প্রাণঘাতী বন্যা অব্যাহত রয়েছে।

কিছু এলাকায় বৃষ্টি ইঞ্চিতে মাপার পরিবর্তে ফুট ধরে মাপা হচ্ছে। বেশ কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হচ্ছে ১৮ ইঞ্চি (৪৫ সেমি)। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর-মধ্যাঞ্চলের উপসাগরীয় উপকূলে বন্যা হতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি)।

পেনসাকোলায় ৫ ফুট গভীর বন্যা হয়েছে। শহরটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে এটি তৃতীয়।

পুলিশ জনগণকে বাইরে যেতে বারণ করেছে। তারা বলছে, দয়া করে ঘরে থাকুন। কেউ ক্ষয়ক্ষতি দেখতে বেরোলে তাদের উদ্ধার কাজের গতি কমবে।

এর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিপাত মিসিসিপি থেকে ফ্লোরিডা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে এনএইচসি। ঘূর্ণিঝড় থেকে নিরাপদ থাকতে আগেই উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর