img

পুরুষদের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার তুলনামূলক বেশি। ফুসফুসের ওপর প্রতিনিয়ত অত্যাচারই এর জন্য দায়ী। যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত, যেমন অ্যাসবেস্টস কারখানার কর্মী কিংবা প্রচুর ধুলাবালুর মধ্যে কাজ করেন, এমন ব্যক্তিদের এ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া ধূমপায়ী বা তামাকসেবীদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যানসার হয় তাঁদের, যাঁরা ধূমপান করেন। প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যানসার ধরা পড়ে শেষ পর্যায়ে গিয়ে। এর অন্যতম কারণ, অবহেলা। কাজেই ছোটখাটো লক্ষণগুলো অবহেলা না করে বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত।

  • কাশি সবারই হয়। তবে এ কাশি যদি দীর্ঘমেয়াদি বা আট সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করে এবং কাশির সময় যদি বুকে ব্যথা হয়, তাহলে সতর্ক হতে হবে। দুই-তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে কাশি দেখা যায়। কফ তৈরি হবেই, এমন কোনো কথা নেই। খুসখুসে কাশিও হতে পারে ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণ।
  • ফুসফুস ক্যানসারের আরেকটি অন্যতম লক্ষণ শ্বাসকষ্ট। একটু হাঁটলে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপিয়ে ওঠাকে অবহেলা করা যাবে না। ক্যানসার শ্বাসনালির কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। এ কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
  • এটি ফুসফুস ক্যানসারের আরেকটি লক্ষণ। ধূমপায়ী পুরুষ রোগীদের ক্ষেত্রে এ লক্ষণ বেশি দেখা যায়।
  • ক্যানসারের প্রদাহের কারণে জ্বর হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ঘুসঘুসে জ্বর থাকা খারাপ।
  • শরীরব্যথাশরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন ঘাড়, পিঠ, বুক ও বাহুব্যথা হতে পারে। ৫০ শতাংশ মানুষের ফুসফুস ক্যানসার ধরা পড়ে বুক ও কাঁধের ব্যথা নির্ণয়ের মাধ্যমে। কাশির সময় এ ব্যথা বাড়ে।
  • হঠাৎ করে ডায়েট বা ব্যায়াম ছাড়াই প্রায় পাঁচ কেজি বা তার বেশি ওজন কমে যাওয়া যেকোনো ক্যানসারের লক্ষণ।
  • ঘনঘন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া রোগীদের ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
  • কর্কশ, খসখসে হয়ে যেতে পারে কণ্ঠস্বর। যদি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন থেকে যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ঝুঁকি কমাতে কী করবেন?

  • ধূমপান বর্জন করুন।
  • পরোক্ষ ধূমপানও এড়িয়ে চলুন।
  • ফুসফুসের যেকোনো সমস্যায় সঠিক চিকিৎসা নিন।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর