img

মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের করোনার টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে মৃদু থেকে মাঝারি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের টিকার চূড়ান্ত ধাপ বা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় যাদের পরীক্ষামূলক টিকা বা প্লেসেবো দেওয়া হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে মৃদু থেকে মাঝারি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার লক্ষণ রয়েছে। আজ বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফাইজারের কর্মকর্তারা বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নের মুখে বলেন, গবেষণায় অংশ নেওয়া ১২ হাজার মানুষকে টিকাটির দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।

ফাইজার তাদের টিকাটি তৈরি করছে জার্মানির জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা বায়ো এন টেকের সঙ্গে। তাদের তৈরি পরীক্ষামূলক টিকাটি ৪৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে তা ২৯ হাজার মানুষকে দেওয়া হয়ে গেছে।

ফাইজার আশঙ্কা করছে, টিকার যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তাতে একটি স্বতন্ত্র তথ্য পর্যবেক্ষক কমিটি যেকোনো সময় পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করতে পারে। তবে তারা আজ অবধি তা করেনি।

এর আগে ফাইজারের প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা একজনের শরীরে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার ৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে গত সোমবার যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলে ফের পরীক্ষা শুরুর অনুমতি পেয়ে গেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এখনো পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

১২ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ধাপে আরও বড় আকারে করোনা টিকার পরীক্ষা চালানোর কথা জানায় ফাইজার ও বায়ো এন টেক। ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া প্রস্তাবে ৪৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর টিকা প্রয়োগের কথা বলে প্রতিষ্ঠান দুটি। কোম্পানি দুটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা টিকার পরীক্ষা পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাদের ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী টিকা পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বরাবরই টিকা পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলে আসছেন। এর মধ্যে বয়স্ক, বিভিন্ন বর্ণ ও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাযুক্ত মানুষের ওপর প্রয়োগের বিষয়টি রয়েছে। এতে সব ধরনের মানুষের ওপর টিকার কার্যকারিতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগবিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, এ বছরের শেষে অথবা আসছে বছরের শুরুতেই অন্তত করোনার একটি টিকা জরুরি অনুমোদন পাবে। এ বছরের শেষে অথবা আসছে বছরের শুরুতেই অন্তত করোনার একটি টিকা যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনের কাছ থেকে জরুরি অনুমোদন পাবে।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর