img

কাতারের রাজধানী দোহায় আজ শনিবার আফগান সরকারের সঙ্গে ঐতিহাসিক শান্তি আলোচনা শুরু করছে তালেবান। প্রায় ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এই বৈঠক শুরু হচ্ছে। তবে শিগগিরই বড় ধরনের সমাধানের প্রত্যাশা কম।

এএফপির খবরে জানানো হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে বিতর্কিত বন্দী বিনিময় নিয়ে তিক্ত মতবিরোধের কারণে পরিকল্পনার ছয় মাস পরে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত এই আলোচনা শুরু হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন সামনে রেখে আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চান। তিনি চান আগামী বছরের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা সরে যাক। তবে শান্তিচুক্তি হতে কয়েক বছর সময় লেগে যাবে। এটি উভয় পক্ষের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে।

আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান। তারা আফগানিস্তানকে ইসলামপন্থী আমিরাতে পুনর্গঠন করতে চাপ দিচ্ছে।

ঘানির প্রশাসন পশ্চিমা সমর্থিত সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চায়, যা নারী স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন অধিকার নিশ্চিত করবে।

কাবুলের বাসিন্দা ওবায়দুল্লাহ (৫০) বলেন, ‘যখন যুদ্ধ লাগে, আমার দাড়ি ছিল কালো, এখন তা সাদা। কিন্তু যুদ্ধ এখনো চলছে।’ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি এই চাকরিজীবী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না এই যুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ হবে। এই আলোচনা নিয়ে আমার সংশয় রয়েছে। কারণ, দুই পক্ষই তাদের বিষয়সূচি ও ব্যবস্থা কার্যকর করতে চায়।’

আফগানিস্তানের বেশ কয়েকজন বাসিন্দার আশঙ্কা, তালেবান আংশিক বা পূর্ণভাবে ক্ষমতায় ফিরলে দেশটি ইসলামিক শরিয়া আইনে ফিরে যেতে পারে।

ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাতারি মধ্যস্থতা চুক্তি সই করার পরে তালেবান বিজয় ঘোষণা করে। ওই চুক্তিতে আলোচনার জন্য একটি সময়সূচি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

কাতার ধীরগতিতে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দেয়। করোনাভাইরাস সংকট ও আফগানিস্তানে সহিংসতার কারণে মধ্যস্থতার প্রক্রিয়া জটিল হয়ে যায়। দোহার প্রধান মধ্যস্থতাকারী মুতলাক আল-কাহতানি গত বৃহস্পতিবার কূটনৈতিক শক্তির ওপর জোর দেন।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর