img

যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার কমে ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। দেশটির প্রকাশিত সরকারি এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মহামারি করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে হু হু করে বাড়ছিল বেকারত্বের হার। মার্চ থেকে লকডাউনের কারণে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। এপ্রিলে এই হার ১৪ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছে রেকর্ড গড়ে। এরপর মে থেকে লকডাউন শিথিল হওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টাতে শুরু করে। আগস্টে এসে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। প্রায় ১৪ লাখ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে বেকারত্বের হার এখনো ফেব্রুয়ারির পর্যায়ে যেতে পারেনি। ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হার ছিল ৪ শতাংশের ঘরে।

চলতি বছরের আট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি হারিয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ট্রাম্পের সময়কালের বেকারত্বের হার অন্য প্রেসিডেন্টের সময়ের তুলনায় বেশি।

করোনার কারণে ব্যাপক ক্ষতির পরে পরপর চার মাস কিছুটা ভালো হয়েছে মার্কিন শ্রমবাজারের পরিস্থিতি। তবে এখনো স্থিতিশীলতা আসেনি। কর্মসংস্থান বাড়ছে ধীরগতিতে। প্রণোদনাও যথেষ্ট হচ্ছে না ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য। আরও উদ্দীপনা নিয়ে হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেসের মধ্যে আলোচনা স্থগিত হয়ে রয়েছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, মানুষ কাজে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে বেকারত্বের পরিসংখ্যান ‘কম ভয়াবহ’ হয়ে উঠছে। তবে ফেব্রুয়ারির অবস্থানে যেতে ১ কোটি ২০ লাখ নতুন কর্মস্থান তৈরি হতে হবে। যদি চাকরির এই গতি আবার আটকে না যায়, তাহলে যা হতে কমপক্ষে আরও নয় মাস লাগবে। এখনো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাঁটাই অব্যাহত আছে। আগস্টেই ছাঁটাই হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার কর্মী।

গত শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওই তথ্যে আরও দেখা যায়, গড় প্রতি ঘণ্টায় আয় শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর