img

বহুজাতিক বিমা কোম্পানি মেটলাইফ বাংলাদেশের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য পুঁজি নিচ্ছে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান প্রাণ এগ্রো লিমিটেড। ব্যাংক ঋণ না নিয়ে বন্ড ছেড়ে এ অর্থ সংগ্রহ করছে প্রাণ এগ্রো। গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রাণ এগ্রোর বন্ড ছাড়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

বিএসইসি জানিয়েছে, বন্ড ছেড়ে প্রাণ এগ্রো ২১০ কোটি টাকার পুঁজি সংগ্রহ করবে। এ পুঁজি কোম্পানিটির যন্ত্রপাতি কেনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে খরচ করা হবে। ৭ বছর মেয়াদি অরূপান্তরযোগ্য এ বন্ডের কুপন হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ থেকে ১০ শতাংশ। ২১০ কোটি টাকার এ বন্ডের ৮০ শতাংশই কিনে নেবে মেটলাইফ বাংলাদেশ।

বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা এ অর্থ প্রাণ এগ্রো কুলিনারি খাতে বিনিয়োগ করবে। এরই মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। বন্ডের টাকায় সেই কাজ সম্পন্ন করা হবে।

জানা গেছে, এককভাবে বেসরকারি কোনো কোম্পানির বন্ডে মেটলাইফ বাংলাদেশের এটির সর্বোচ্চ বিনিয়োগ। আবার ব্যাংক খাতের বাইরে বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বন্ডের মাধ্যমে একটি বিমা কোম্পানির কাছ থেকে এককভাবে এ পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের উদাহরণও খুব বেশি নেই।

জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী বলেন, বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা এ অর্থ প্রাণ এগ্রো কুলিনারি খাতে বিনিয়োগ করবে। এরই মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। বন্ডের টাকায় সেই কাজ সম্পন্ন করা হবে। উজমা চৌধুরী আরও বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বন্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ হয়। বাংলাদেশেও বিনিয়োগের নতুন এ মাধ্যমটি তৈরি হচ্ছে। এর ফলে যার হাতে টাকা আছে  সেই বিনিয়োগ করতে পারবে।

প্রাণ এগ্রোর বন্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। বন্ড হচ্ছে এক ধরনের ঋণপত্র। এ ঋণপত্র বিক্রি করে এক প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠান ও সম্পদশালী ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ব্যবসার প্রয়োজনে যারা বন্ডে বিনিয়োগ করেন তাদের নির্ধারিত হারে সুদ দেওয়া হয়, এ সুদ হারকে কুপন রেটও বলে। মেয়াদি বন্ডের ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগ করা মূল অর্থ ফেরত পান।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর