img

চোখের সুরক্ষায় যত্নবান না হলে যেকোনো সময়ই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির এই সময় ছোটখাটো সমস্যায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়া যাচ্ছে না। তাই একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে এখন। কারণ করোনাভাইরাস চোখের মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তা ছাড়া করোনা থেকে চোখের প্রদাহও হতে পারে। এ জন্য এ সময় নিম্নোক্ত সতর্কতাগুলো অবলম্বন করতে পারেন—

সানগ্লাস

এ সময় ঘরের বাইরে বের হলে সানগ্লাস পরুন। এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করবে। এ ছাড়া ধুলাবালি থেকেও রক্ষা করবে। মার্কেট, হাসপাতাল ও জনসমাগমে যেতে হলে গগলস বা পাওয়ারলেস চশমা পরতে পারেন। এতে চোখ সুরক্ষা পাবে। বাসায় ফিরে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে তবেই চোখে হাত দেবেন। চশমা, গ্লাস কিংবা গগলসও সাবান–পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। কোনো কারণে চোখ চুলকালে টিস্যু বা পরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করুন।

চোখের ড্রপ

গরমে অনেকেরই ত্বক শুকিয়ে যায়। শুধু ত্বক নয়, চোখও শুষ্ক হয়ে পড়ে। চোখের শুষ্কতা বা খরখরে ভাবের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে টিয়ার ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরনের ড্রপ সাধারণত প্রিজারভেটিভমুক্ত হয়। তবে করোনাকালে যেকোনো ড্রপ দেওয়ার আগে ভালো করে সাবান–পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। ড্রপের বোতলটিও জীবাণুমুক্ত রাখুন। অন্যের হাতে ড্রপ না দেওয়াই ভালো।

শীততাপ নিয়ন্ত্রণ

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসির বাতাসে অনেকেরই চোখ শুষ্ক ও স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। তাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে অবস্থানকালে এমন জায়গায় থাকুন, যেখান থেকে এসির বাতাস সরাসরি চোখে না লাগে।

পুষ্টিকর খাবার

চোখের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে ভিটামিনসমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। সবুজ শাকসবজি চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। চোখে প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহারের আগে মেয়াদ আছে কি না দেখে নিন।

কম্পিউটার ব্যবহারে সতর্কতা

একটানা অনেকক্ষণ কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করার ফলে চোখের পেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই একটানা কাজ না করে মাঝে মাঝে বিরতি নিন। একই কথা খাটে মুঠোফোনের ক্ষেত্রেও। নিয়মিত চোখের পেশির ব্যয়াম করুন। দূরে বা সবুজে দৃষ্টি দিন।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর