img

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সরকারি ভাতা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে সরকারি সুবিধাভোগীর হিসাবে দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে নগদ, বিকাশ, রকেট ও শিওর ক্যাশকে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। তারা ৮ বিভাগের ৮ ইউনিয়নের ১৩ হাজার ৮৪৫ উপকারভোগী বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী নাগরিকের কাছে সরাসরি সরকারি ভাতা পৌঁছে দেবে। সম্প্রতি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে এক চিঠির মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতাদের এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে সারা দেশের সরকারি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হবে। এর ফলে ভাতার টাকা সরাসরি সুবিধাভোগীর হিসাবে পৌঁছে যাবে। কমে যাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের উৎপাত।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার বাগমারা (উত্তর) ইউনিয়নের ১ হাজার ১৩৬ উপকারভোগী ও রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের ২ হাজার ৯৭৮ উপকারভোগীকে টাকা পৌঁছে দেবে ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ।

ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার কান্দি ইউনিয়নের ১ হাজার ৬২২ জন ও সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ২ হাজার ৭৩ জনকে সুবিধা পৌঁছে দেবে সবচেয়ে বড় সেবাদাতা বিকাশ।

রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের ১ হাজার ৪৪৫ ও খুলনার দাকোপ উপজেলার কামারখোলা ইউনিয়নের ১ হাজার ৬২০ জনকে সুবিধা পৌঁছে ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের সেবা রকেট।

আর বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ১ হাজার ৬২১ ও ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা রায়পুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৭১০ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে সুবিধা পৌঁছে দেবে শিওর ক্যাশ।

এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ভাতা বা পারিশ্রমিক পাবে না মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। চলতি অর্থবছরে প্রায় ৮৭ লাখ বয়স্ক নাগরিক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী নাগরিককে ভাতা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর