img

চীন থেকে আমদানি করা ৩২৭টি পণ্যের বিকল্প উৎস খুঁজে বের করা সম্ভব ভারতের পক্ষে। এমনকি ভারত চাইলে নিজেও এগুলোর উৎপাদন করতে সক্ষম। সরকারের আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজের (আরআইএস) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। আজ সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গবেষণা সংস্থাটি ‘জটিল সংবেদনশীল এই আমদানি পণ্যের’ পরিমাণ নির্ধারণে জাতিসংঘ কমট্রেড ডেটাবেইস ব্যবহার করেছে। ২০১৮ সালে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ডলারের এই পণ্য আমদানি হয়, যেখানে চীন থেকে মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৯ হাজার কোটি ডলারের।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চীন থেকে সীমান্ত দিয়ে ৭ হাজার ৬৪০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে। চীন থেকে প্রায় ৪ হাজার রকমের পণ্য আমদানি করে ভারত। অর্থাৎ সেই হিসাবে ৩২৭টি পণ্য হলো মোট আমদানি পণ্যের ১০ শতাংশের মতো। তবে এসব পণ্যের মধ্যে আছে মোবাইল, টেলিকম যন্ত্রাংশ, ক্যামেরা, সোলার প্যানেল, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, পেনিসিলিনের মতো পণ্য। প্রতিদিনের ব্যবহারের পণ্য যেমন মাইক্রোওয়েভ ওভেন এবং নির্দিষ্ট ধরনের ওয়াশিং মেশিনের মতো পণ্যগুলোও আছে। তবে এ–ও ঠিক যে এই সব পণ্যের অনেকগুলোর চীন একমাত্র রপ্তানিকারক।

গবেষণার লেখক কে এস মোহান্তি বলেন, বিকল্প আমদানির উৎস তাড়াতাড়ি খুঁজে না পাওয়া গেলেও এসব পণ্য অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি করা সম্ভব ভারতের পক্ষে। এখন অভ্যন্তরীণ উৎপাদন উৎসাহিত করা উচিত, সরকার মোবাইল, ইলেকট্রনিক পণ্য ও ওষুধ পণ্য উৎপাদন করতে প্রণোদনা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় আসবাব এবং পাদুকা থেকে শুরু করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক পর্যন্ত এক ডজন খাত চিহ্নিত করেছে, যেখানে তারা উৎপাদন শুরু করতে চাইছে।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারত এখনো চীন থেকে ৯৬টি প্রধান পণ্যের মধ্যে ৪১টির বেশি আমদানি করে। গত বছরের তুলনায় এ বছর জুন পর্যন্ত চীন থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ, যন্ত্রাংশ ও আনুষঙ্গিক আমদানি বেড়েছে ১ হাজার ৫০০ শতাংশ।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর