img

কিছুদিন আগে একজন শ্রদ্ধেয়া ম্যাডামের কাছে এক মা তার ১৩ বছরের ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা গেলো মেয়েটি ১৬ সপ্তাহের গর্ভবতী৷ জানা গেলো মেয়েকে বাসায় রেখে মা বাইরে গিয়েছিলেন। মেয়ের আপন দুলাভাই এই অপকর্মটি ঘটিয়েছেন। মেয়েটি ভয়ে না কি লজ্জায় না কি হতবিহবলতায় জানি না তার মা কিংবা বোন কাউকেই জানায়নি। বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও ঘটনাটি সত্য। 

এটা কি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা? শ্যালিকা-দুলাভাইয়ের মাঝে অবৈধ সম্পর্ক আমাদের সমাজে খুব একটা অপ্রচলিত না কিন্তু। আমি জানি শুনতে খুবই খারাপ লাগবে তবুও আপন দুলাভাই মানেই কিন্তু আপন ভাই না৷ তাদেরও খারাপ বাসনা থাকতে পারে। আমাদের সমাজে বহু আগে থেকে চলে আসা শালী-দুলাভাই নিয়ে যে আদিরসাত্মক ঠাট্টা-মশকরা করা হয় এটা মোটেও শোভনীয় কিছু না৷ ফান করে হলেও 'ছোট বউ বা ছোট গিন্নি' জাতীয় শব্দ ব্যবহার কি আসলেই ঠিক? স্ত্রী আর স্ত্রীর বোন নিশ্চয়ই কোনোভাবেই এক না। বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্ধভাবে কাউকেই বিশ্বাস করা ঠিক হবে না; একটা মিনিমাম ডিসট্যান্স বজায় রাখা উচিত৷ ঠাট্টাচ্ছলেও কখনও শরীরে স্পর্শ করার সুযোগ দেওয়া ঠিক হবে না। আত্নমর্যাদাবোধ প্রখর থাকা প্রয়োজন। লজ্জাবোধ যতো উঠে যায় সে মানুষটা ততো সস্তা হতে থাকে৷ লজিক বলে অনেক মেয়েরা যেহেতু দুলাভাইকে অনেক সহজেই বিশ্বাস করে তাই এক্ষেত্রে অপকর্ম ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

আপনার হাজব্যান্ডকে দেখে রাখুন। আপনার ছোটবোনের সাথেও বেশি ক্লোজ হতে দেওয়া আপনার জন্যে অবিশ্বাস্য ভয়ঙ্কর পরিণতি আনতে পারে। 'আমি অনেক ফ্রি-মাইন্ডেড, লিবারেল' বা 'ওর প্রতি বিশ্বাস আছে' জাতীয় মানসিকতা যেন আবার সারাজীবনের কান্না না হয়৷ সব দুলাভাই-ই যেমন খারাপ না আবার বাস্তবতা কিন্তু বলছে এদের মধ্যে একটা অংশ পটেনশিয়াল ধর্ষক। এই ব্যাপারগুলো বলা আমার পক্ষে খুবই অস্বস্তিকর কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে সাবধান করার খুব প্রয়োজন।

 

ডা. মারুফ রায়হান খান

এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য)

বসুন্ধরা কোভিড হসপিটাল

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ