img

এহসানুর রশীদের বাড়ি বগুড়ায়। গান করার পাশাপাশি তিনি চাকরিও করতেন। গত বছর একটি ব্যক্তিগত গাড়ির ধাক্কায় মারাত্মক আহত হন তিনি। সেই সময় তিনি ছিলেন একটি পোশাক কারখানার প্রশাসন বিভাগের কর্মী।এহসানুর রশীদ দুর্ঘটনার পর চিকিৎসার পেছনে টাকা ব্যয় করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান। তত দিনে চাকরিও চলে যায়। এর মধ্যে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে আর চাকরিও পাননি। দিশা না পেয়ে ঢাকায় রিকশা চালানো শুরু করেন।

এহসানুর রশীদ মিউজিশিয়ান হিসেবে যুক্ত ছিলেন স্যালভেশন নামের একটি ব্যান্ডের সঙ্গে, যেটি টেলিভিশনের এক প্রতিযোগিতায় সেরা ব্যান্ড হিসেবে বিজয়ী হয়েছিল।একটি অনলাইন পোর্টালে এহসানুর রশীদকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তা চোখে পড়ে স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসানের। এরপর যোগাযোগ করা হলে স্বপ্ন কার্যালয়ে হাজির হন এহসানুর।স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান ও অপারেশনস ডিরেক্টর আবু নাছের অনলাইনে এহসানুর রশীদের সঙ্গে কথা বলার পর মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান শাহ মো. রিজভী ও মিডিয়া ম্যানেজার কামরুজ্জামান তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। এহসানুর রশীদ নামের ওই ব্যক্তি এখন থেকে প্রতিষ্ঠানটির ‘ইনভেন্টরি অ্যান্ড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট অফিসার’ পদে কাজ করবেন।স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘অনলাইনে ভিডিও প্রতিবেদনটা দেখে মনে হচ্ছিল, ওনার জন্য কিছু করি। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই তাঁর জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করলাম আমরা।’চাকরি পাওয়ার পর এহসানুর রশীদ বলেন, ‘এমন দুঃসময়ে চাকরি পাব, এটা ভাবতেও পারিনি। আমাকে যে সম্মান আজ স্বপ্ন দিল, সেটা সততার সঙ্গে রক্ষা করতে চাই আমি। নতুন পদে নতুন চাকরিটা ভালোভাবে করতে চাই।’

এই বিভাগের আরও খবর