img

ঘোর বর্ষায়ও ভ্যাপসা গরম। বৃষ্টি আসি আসি করেও আসছে না। ভরা বর্ষায়ও দেখা নেই ঝুমবৃষ্টির। অথচ জুন মাসের শুরুতে বেশ দাপট ছিল মৌসুমি বায়ুর। এর সক্রিয়তায় স্বাভাবিকের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে জুনে। ১৭ জুন সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছিল কক্সবাজারে, ২৫৩ মিলিমিটার। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হলেও এর মাত্রা বেশি ছিল ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে।

একচেটিয়া সুযোগ পেয়ে গরমও প্রকৃতিকে কাবু করার চেষ্টা করেছে ওই সময়। সারা দেশে গড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। ৭ জুন রাজশাহী জেলায়, ১০ জুন দিনাজপুর জেলায় ও ২৪ জুন যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বৃষ্টি আর গরমের এই আনাগোনায় জুলাইয়ে প্রকৃতি কী রূপ ধারণ করবে? এর পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জুলাইয়ে সারা দেশে স্বাভাবিক বা ৫২৩ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে।

কিন্তু জুলাইয়ের শুরুতে বৃষ্টি কম হচ্ছে কেন? এ ব্যাপারে আজ শনিবার আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, স্বাভাবিক বৃষ্টি মানে যা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটিই হবে। এর চেয়ে বৃষ্টি কিছু কম–বেশি হতে পারে। আর স্বাভাবিক বৃষ্টি মানে দেশের সব এলাকায় একই ধরনের বৃষ্টি হবে। কোথাও কম, আবার কোথাও বেশি হবে। এখন যে অবস্থা, এতে দু–এক দিন আবহাওয়া এমনই আচরণ করতে পারে।

আবদুল মান্নান বলেন, কাল ৫ জুলাই থেকে বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। এ কারণে সাগরে মেঘমালা সৃষ্টি হবে। এর লক্ষ্মণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। মেঘমালার প্রভাব উপকূল পড়তে পারে দুই একদিন পর। এতে ধারণা করা হচ্ছে, ৭ জুলাই থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে।

বৃষ্টির কারণে বন্যা হতে পারে কি না, জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, এবার বর্ষাকাল একটু আগেই এসেছে। এতে জুনের শেষদিকে দেশের উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় আগাম বন্যা হয়েছে। আপাতত মনে হচ্ছে, বড় ধরনের বন্যা হবে না। তবে যেসব এলাকায় এখন বন্যা দেখা দিয়েছে, এর স্থায়িত্ব একটু দীর্ঘ হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকালের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। রাজশাহী বিভাগের কিছু এলাকায় এ ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর জেলায় ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় একেবারে বৃষ্টি না হলেও সারা দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে—৮৫ মিলিমিটার।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ 

এই বিভাগের আরও খবর