img

বাজারে মোটা চালের সংকটের কথা বলা হচ্ছে। সরবরাহও নেই। তবে যে কয়েকটি দোকানে মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল পাওয়া যাচ্ছে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৪৪-৪৫ টাকা।এছাড়া সরু ও মাঝারি আকারের চালের দাম নতুন করে না বাড়লেও গত সপ্তাহ থেকে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে করোনা পরিস্থিতিতে বাড়তি দরে চাল কিনতে ভোক্তার হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারা বলছেন, ভরা মৌসুমে বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও দাম বাড়তি। তাই সরকার সংশ্লিষ্টদের এদিকে নজর দিতে হবে। অন্যদিকে বাজারে সবজির সরবরাহ বেশি থাকলেও ভোক্তাদের বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে রাজধানীর মালিবাগ বাজারের খালেক রাইস এজেন্সির মালিক ও খুচরা চাল ব্যবসায়ী মো. দিদার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে বাজারে মোটা চালের সংকট রয়েছে। তাই দামও বাড়তি। শুক্রবার প্রতিকেজি মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৪-৪৫ টাকা। প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৫৫-৫৬ টাকা। নাজিরশাল চাল মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৫৮-৬৫ টাকা কেজি। আর মাঝারি আকারের চালের মধ্যে বিআর-২৮ চাল প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৪৮-৫০ টাকা। 

তিনি বলেন, এই ভরা মৌসুমেও মিল মালিকরা চালের দাম কমাচ্ছে না। তাদের ইচ্ছে মতো দামে বিক্রি করছে। যার ফলে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের প্রভাব পড়ছে। আর ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে বেশি দামে।কারওয়ান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক ও পাইকারি চাল বিক্রেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, বাজারে চালের কোনো সংকট নেই। কারণ এখন চালের ভরা মৌসুম। তবে দাম কমছে না। কারণ মিলাররা চাল নিয়ে কারসাজি করছে।অন্যদিকে বাজারের সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার প্রতিকেজি পেপে বিক্রি হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা। যা সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা। প্রতিকেজি শসা বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা। মানভেদে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা। প্রতিকেজি গাজর বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকা। এছাড়া বাজারভেদে প্রতিকেজি বরবটির বিক্রি হয়েছে ৬০-৮০ টাকা। প্রতিকেজি পটল বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৮-৩২ টাকা।বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, এদিন প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা এবং পাকিস্তানি সোনালী মুরগি ২৭০-২৯০ টাকা কেজি। এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫৭০-৫৮০ টাকা। আর প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর