রংপুরে রাতের সৌন্দর্য বাড়াতে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ল্যাম্পপোষ্ট
রংপুর সিটি করর্পোরেশনের (রসিক) ২৫ কিলোমিটার সড়কে ১০কোটি টাকা ব্যয়ে সহস্রাধিক সোলার এলইডি ও নন এলইডি সড়কবাতি স্থাপন করা হচ্ছে। এই সড়কবাতি স্থাপন করা হচ্ছে দমদমা ও পাগলাপীর মহাসড়কে। কার্বন নি:সরণ কমানো ও বিকল্পের উৎসের ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ১ হাজার সাদা রঙের ল্যাপপোষ্টে জ্বলবে সাদা আলো।
এতে বিদ্যুৎ ব্যয় কমবে, বাড়বে রাতের আলো। সোলার স্ট্রিট লাইটিং প্রোগ্রাম ইন সিটি করর্পোরেশন প্রকল্পের আওতায় এসব সড়কবাতি স্থাপন করা হবে বলে জানা যায়। এরই মধ্যে চীন থেকে ল্যাম্পপোষ্ট, এলইডি লাইট, সৌরশক্তি চালিত ডিভাইস, কন্ট্রোল বোর্ড, ক্যাবল ও আয়তকার সোলার প্যানেল আনা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই সোলার সিস্টেম নগরাসীর জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ মিটার পর পর সাদা রঙের ল্যাম্পপোষ্টে সাদা ঝকঝকে আলোতে রাতের শহর আলাদা সৌন্দর্য পাবে। সোলার প্যানেল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারী সূর্যালোকে চার্জের সুবিধা থাকায় তা হবে পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। এ ছাড়া মধ্যরাতে স্বয়ক্রিয়ভাবে সোলারের তীব্রতা কমিয়ে স্বল্প আলোর লাইটে পরিণত করার ব্যবস্থা থাকবে বলে সূত্রটি জানায়।জানা যায়, এডিবির অর্থায়নে ঢাকা গেøারিয়া টেকনোলজি কোম্পানী লিমিটেড এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
রংপুর বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় আসে ঢাকা উত্তর সিটি করর্পোরেশন, চট্রগ্রাম সিটি করর্পোরেশন, খুলনা সিটি করর্পোরেশন, বরিশাল সিটি করর্পোরেশন, রাজশাহী সিটি করর্পোরেশন, ও রংপুর সিটি করপোরেশন । কয়েক মাস আগে রংপুরের কাজ শুরু হয়েছে । এর কাজ পেয়েছেন চীনা প্রতিষ্ঠান জেড এমইসি-এলএটিজেভি। চুক্তি অনুযায়ী চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুটি প্রকিউরমেন্ট অব ডিজাইন, সাপ্লাই,ইনস্টলেশন ও কমিশনিং এর পাশাপাশি সোলার স্ট্রি লাইটং সিস্টেম ও এলইডি বেজড স্ট্রিট লাইটিং সিেেস্টমে ৫ বছর ওয়ারেন্টি সার্ভিস প্রদান করবে।
ডিসেম্বরের আগেই কাজ শেষ হবে জানিয়ে ঠিকাদার জুয়েল মিয়া জানান, ইতোমধ্য ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, শুধু সোলার স্ট্রিট লাইটের প্রকল্পই নয় তিলোত্তমা নগরী গড়তে প্রধানমন্ত্রীর মাধমে আরো প্রকল্প আসছে। সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রংপুর নগরী গড়ে উঠবে নতুন রং এ এবং নব রুপে।