হজ এজেন্সিতে দুদকের অভিযান
হজযাত্রীদের সাথে প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগে হজ এজেন্সিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুপুরে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর ফকিরাপুলের হজ এজেন্সিসমূহে অভিযান চালিয়েছে। এর আগেও দুদক একাধিকবার হজ এজেন্সিসমূহে অনিয়ম রোধে অভিযান চালায়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, হজ এজেন্সি কর্তৃক হজযাত্রীদের প্রতারণা এবং দুর্নীতি ও মানবপাচার সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর ফকিরাপুলের হজ এজেন্সিসমূহে অভিযান চালিয়েছে।
উপপরিচালক মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে পুলিশসহ ৯ সদস্যের দুদক টিম রোববার রাজধানীর ফকিরাপুলে কয়েকটি হজ এজেন্সিতে আকস্মিক অভিযান চালায়।
দুদক টিম ফকিরাপুলে জি-নেট টাওয়ার এ অবস্থিত ৮টি ট্রাভেল এজেন্সিতে অভিযান চালায়। দুদক টিমের অনুসন্ধানে ওঠে আসে যে, খানজাহান আলী হজ ট্যুর ও ট্রাভেলস সরকারের কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় আল-মদিনা ট্রাভেলস-এর নামে হাজী পাঠাচ্ছে। এ ছাড়া জামালপুর ট্যুর ও ট্রাভেলস নিজেদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাজী না পাওয়ায় মিনার ট্রাভেলসকে তাদের যাত্রী পাঠানোর দায়িত্ব দিয়েছে।
সরেজমিন অভিযানে কিং এয়ার ইন্টারন্যাশনাল-এ বড় অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। উল্লেখিত হজ এজেন্ট নিজের নিবন্ধনকৃত হাজী প্রেরণ না করে তার লাইসেন্স অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠান নীলসাগর ট্রাভেল এজেন্সিকে প্রদান করে। অনুসন্ধানে জানা যায়, নীলসাগর ট্রাভেল এজেন্সির নিজস্ব কোন হজ লাইসেন্স নেই।
এ ছাড়া দুদক টিম এয়ার কনফিডেন্স, নিটলাইন হাজারী হজ ট্যুর ও কেবি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল হজ এজেন্সিতে অভিযান পরিচালনা করে লাইসেন্স এবং হজযাত্রীদের তালিকা পরীক্ষা করে। তারা একাধিক হজযাত্রীর সাথে কথা বলে তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে চান এবং সকল এজেন্টকে কোনরূপ হয়রানি ছাড়া যাত্রীসেবা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, হজ নিয়ে দুর্নীতি বা প্রতারণা বন্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে, দুর্নীতির প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, দুদক হজ এজেন্সিতে এনিয়ে অনিয়মরোধে চতুর্থবারের মত দফা অভিযান চালিয়েছে। তারা গত ২ জুলাই, ৪ জুলাই এবং ৯ জুলাই দুদক টিম যথাক্রমে রাজধানীর পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন ও ফকিরাপুলের হজ এজেন্সিসমূহে অভিযান চালায়।