img

২০০৩ সালে প্রথম গিটার হাতে নিয়েছিল রোমিও । ‘তুঝে দেখা তোয়ি জানা সানাম’ এর সুর বাজাতেন গিটারে সারাদিন বন্ধুদের সাথে। উল্টাপাল্টা কর্ড আর এলোমেলো রিদমের সাথে গান গাইতো বন্ধুরা । আর আজ ঐ উল্টাপাল্টা কর্ড আর এলোমেলো রিদম গুলি থিসিস করে নতুন কিছু সৃষ্টি করার পথে রোমো রোমিও । জন্ম থেকে এপর্যন্ত যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছেন তিনি সবটুকু কাজে লাগিয়েছেন তার সৃষ্ট ‘খোদাবান’ গানটিতে । এ গানের জন্য তিনি ভাষাচর্চা করেন । সেখান থেকে তার সৃষ্ট ভাষা এ গানের লিরিক্সে ব্যবহৃত করেন তিনি । এছাড়া বহুকাল যাবৎ রাগ চর্চা শেষে ‘মীমবারো’ নামের একটি রাগ সৃষ্টি করেন তিনি । এবং এই রাগ দিয়েই তিনি খোদাবান গানটি সুর এবং কম্পোজিশন করেন ।

এই খোদাবান গানের সম্পর্কে রোমিও কিছুটা বর্ণনা করেন যেখানে বোঝা যায় তার জীবনের সমস্ত অর্জন মিশে আছে এই গানটি তে। ছোটবেলা থেকে ছড়া,কবিতা,ছোটগল্প লিখতে লিখতে এখন তিনি লিখছেন বস্তুবাদ,মানবতাবাদ ও যুক্তিবাদ নিয়ে উদাহরনস্বরূপ খোদাবান গানের লিরিক্স। শেখ সাদী, ডেল কানের্গী,সক্রেটিস,ইমারসন প্রভৃতি শ্রেষ্ঠ মনীষী তাকে দর্শনের পথ দেখায়। জসীমউদ্দিন, জীবনানন্দের কবিতা ও রবীন্দ্রসংগীত তার মনে সূর্যোদয়ের মত প্রেম জাগায় । হাসন রাজা,লালন সাইয়ের খোদাভক্তি ও বাউলদের জীবনতত্ত্ব তার মস্তকে পাগলীর প্রলাপ সৃষ্টি করে । এছাড়া সংগীত জীবনে স্টিভ ভাই, জন প্রেট্টুসি,অ্যান্ডি টাইমনস,মার্টিফ্রাইডম্যান, রিদওয়ান চৌধুরি পঞ্চম তার ভীষন প্রিয় গিটারিষ্ট ছিল যেখান তিনি সুরের,নোটের ভাল লাগা তৈরী করেন ।

একটা সময়ে তিনি জীবন ও জগৎ নিয়ে চর্চা করতে শুরু করেন । খোদার সৃষ্টির প্রতি মগ্ন হন তিনি । প্রকৃতির প্রেমে মশগুল। এছাড়া নিউমেরলজি,অ্যাস্ট্রোলজি,কোরআন,গীতা ,বাইবেল চর্চা শেষে আধ্যাত্মিকতায় ধ্যানমগ্ন হন রোমো রোমিও। এসব কিছু থেকে মাখানো সম্পদ হলো রোমিওর “খোদাবান” গানটি। ত্যাগী মনোভাপান্ন তার গানের কথায় ফোটে ‘উত্তরেতে কান্দে দু:খ জড়ভোগীর নাইরে সুখ দক্ষিণে খোদার ফুলেতে ত্যাগীর সৌরভ’। রোমিও খোদাবান গানটি লিখেছেন অনেক তপস্যা করে। এছাড়া সুরকার,মিউজিক কম্পোজার তিনি নিজেই । গানটি গেয়েছেন আবই জান্নাত আর। গানটির কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এবার গানটি মুক্তি পাবার অপেক্ষায়। রোমিও জানায় অসংখ্য ফিলোসফি লুকিয়ে আছে তার এই সৃষ্টিতে।

এই বিভাগের আরও খবর