img

মুখমেহন ডেকে আনতে পারে ক্যানসারের (Cancer) আশঙ্কা! এমনই দাবি বিজ্ঞানীদের। সম্প্রতি আমেরিকা ও ব্রিটেনের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই দিকটি। যে গবেষণায় দেখা গিয়েছে গলার এক বিশেষ ক্যানসারের ক্ষেত্রে রিস্ক ফ্যাক্টর হয়ে উঠতেই পারে মুখমেহন।

বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ‘ইনস্টিটিউট অফ ক্যানসার অ্যান্ড জেনোমিক সায়েন্সেসে’র অধ্যাপক ড. হিশাম মেহান্না এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। গবেষকদের দাবি, ধূমপানের থেকেও কখনও কখনও মুখমেহনের ফলে এক বিশেষ ধরনের গলার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এই ধরনের ক্যানসারকে বলা হয় অরোফেরিঞ্জিল ক্যানসার। এর পিছনে কারণ হল ‘হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস’ বা এইচপিভি। এই জীবাণু ছড়ায় যৌনতা থেকেই। আর তাই মুখমেহনের ফলে এটি গলাকে আক্রান্ত করতে পারে। পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রেও ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।তবে অল্পবিস্তর এই ধরনের যৌনতায় ততটা আশঙ্কা দেখছেন না গবেষকরা। পাশাপাশি বহু সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতায় অভ্যস্ত যাঁরা, তাঁদের ক্ষেত্রেও মুখমেহনের ফলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। দেখা গিয়েছে, ৬ বা তার বেশি সংখ্যক সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতা করলে তাঁদের গলার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে সাড়ে ৮ গুণ! যদিও দেখা গিয়েছে, ব্রিটেনে ৮০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কই মুখমেহন করে থাকেন। তাঁদের মধ্যে অতি সামান্য সংখ্যকই গলার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। এর পিছনে অধিকাংশের শরীরে এইচপিভির বিরুদ্ধে অনাক্রম্যতা গড়ে ওঠাই কারণ।

কী কী লক্ষণ রয়েছে এই ক্যানসারের?

  • মুখের কোনও আলসার যদি ৩ সপ্তাহের মধ্যে না সারে।
  • খাবার গিলতে কষ্ট এবং গেলার পরও যদি মনে হয় কিছু খাদ্যাংশ রয়ে গিয়েছে গলার ভিতরে।
  • খাবার চেবানোর সময় ব্যথা

এই বিভাগের আরও খবর